Thursday, February 25, 2021

আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.)' কিছু মহামূল্যবান "অমৃত বাণী Amrit Saying's"


 

✍ আহলে বাইত ব্যতীত ইবাদত গ্রহনযোগ্য নয়।

✍ আ-লে রাসূলগণই আল্লাহর শক্তিতে শক্তিমান প্রতিনিধি।

✍ খেলাফত মানুষ প্রদত্ত, মওলায়্যাত আল্লাহ প্রদত্ত।

✍ যে সত্যকে অস্বীকার করে সে নাহক্ব।

✍ যে নিজের কাজে যত বেশী সৎ, সে আল্লাহর দরবারে তত বেশি মর্যাদাবান। তোমার কৃতকর্মের ত্রুটি বিচ্যুতি আল্লাহ যেমন জ্ঞাত নিশ্চয় তুমিও জ্ঞাত। কেননা তুমি জানলেই আল্লাহর জানা হয়ে যায়।

✍ আদি মওলা রেফারেন্স, বর্তমান মওলা সমাধান।

✍ কায়িক এবাদত, যাকাতে জিছমানী। 

✍ বিচ্ছেদ মওলা তালাশি মানুষকে মওলার পথে অগ্রসর হতে খুব বেশী সহায়তা করে।

✍ মৃত্যুর সময় আমল নয়, ঈমান সাথে নিয়ে যেতে হয়।

✍ মোতওয়াক্কলগণ সদা সর্বদা আল্লাহর আশ্রয়ে থাকেন।

✍ দলিলের আল্লাহ থাকে কাগজে,

দখলের আল্লাহ মু'মিনের ক্বলবে।

✍ প্রায়শ্চিত্তের ভয়ে কিংবা ভোগের আশায় নয়, নীতিতে উন্নত ব্যক্তিই কেবল ধার্মিক।

✍ পীর যখন লোভী এবং স্বভাবের দাস হয় তখন তার সহচর্য পার্থিব লাভ লোকসানের জন্য হয়ে থাকে, যিনি অন্তরের অধিকারী তার সহচর্য পরকালের জন্য হয়ে থাকে আর যিনি বাতেনের অধিকারী তার সহচর্য মওলার জন্য হবে।

✍ হে আদম সন্তানগণ, জ্ঞানের আলোকে আগমন করুন, আপনাতেই শ্রেষ্ঠত্ব; আপনিই তালাশ করুন।

✍ কালিমা পাঠ করা এবং ঈমান আনার মধ্য 

যে বিশাল পার্থক্য আছে? তা জানার বিষয়। 

          ঈমান আনায়ণে ঈমানদার হয়,

কালিমা পঠক ঈমানদার কিনা বোধগম্য নয়।

✍ আল্লাহর খোঁজ করুন। তালাশ করুন। আল্লাহ হাইয়্যুল কাইয়ুম, সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে। আমার নবী (দ.) হায়াতুন্নবী, তিনি সব সময় জীবিত। দেখতে বা সাক্ষাত করতে চেষ্টা করুন, উপযুক্ত মুর্শিদের তালাশ করুন।

                     মন মানু্ষ তোর আপন ঘরে 

                     বসে আছেন নিজ আকারে,

        খোঁজ কেন? মসজিদ গীর্জা ও মন্দিরে তারে।

                       জ্ঞান চক্ষু মেলে তাকাও,

                      রাহে ভান্ডারীর চরণ পরে।

 ✍ আল্লাহকে চিনে তাঁর প্রেমে বিভোর হয়ে, ভালোবেসে সকল ইবাদত করা প্রয়োজন।

✍ আল্লাহ জাল্লা শানুহুর প্রতিনিধি হে আদম সন্তান! তুমি আল্লাহর ছুরতদারী বনে যাও, আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও। 

আল্লাহ প্রদত্ত আমানত খেয়ানত করো না। কারণ আমানত ফেরত যোগ্য।

আল্লাহর রূপে রূপায়িত হও, কারণ ভিন্ন রূপে আসলের নিকট প্রত্যাবর্তন করা অসম্ভব। 

✍ হে উম্মতে মোহাম্মদী তথা আদম সন্তান! 

       তোমার মূল কি? তালাশ কর।

খোঁজ জগত চষে যেখানে তাঁর দর্শন পাবে 

    সেখানেই নিজেকে আত্মসমর্পণ কর।

✍"ধুর্তভোগি বাদশাহ মুয়াবিয়া ইবনে সুফিয়ান, খেলাফতে মোহাম্মদী (দ.) কে সুকৌশলে আড়াল করে, উমাইয়া খেলাফত প্রতিষ্টা করেন। এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই"।

✍ পৃথিবীতে যা কিছু কল্যাণকর, পূণ্যময় ও সুন্দর, তা সবই ধর্ম। যা কিছু অকল্যাণকর, পাপযুক্ত ও অসুন্দর, সে সবই অধর্ম।

✍ পবিত্র কলেমাকে 'ইলমুল ইয়াকিন' হইতে পর্যায়ক্রমে 'আইনুল ইয়াকিন' এবং 'হক্কুল ইয়াকিন' এর মাধ্যমে খলিফাতুল্লাহ, ছফিউল্লাহ, নূরুল্লাহ বনিয়া যাও। 

জানি তাহা অতিব কষ্টসাধ্য যাহা ইয়াকিন দিয়া সম্ভব নহে। তাই উছিলাহ তালাশ কর।

✍ লৌহে মাহফুজে সু-অংকিত, সুরক্ষিত, সর্বোচ্চ সৌন্দর্যমন্ডিত 'নকশা' কলেমাকে নিজ আয়ত্বে আনার চেষ্টা কর।

✍ যিনি "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মদুর রাছূলুল্লাহ" বলেছেন, পড়েছেন, কহিছেন, গাহিছেন, আওড়াইছেন অথবা আবৃত্তি করেছেন এতে প্রমাণিত হয়না যে তিনি ঈমানদার। 

কারণ "ঈমান" বলা, পড়া, ক‌ওয়া, গাওয়া, আওড়ানো বা আবৃত্তির বিষয় নয়। আনার বিষয়।! 'আল্লাহ' এবং তাঁর প্রেরিত সত্ত্বা 'মোহাম্মদ'(দ.), যেখানেই থাকুন না কেন? সেখান হতে নিজের মধ্যে আনায়ন করা। 

ঐ দুই সত্ত্বা আসমান, জমিন, পাহাড়, সাগর, বন্দর, নগর, বন, জঙ্গল, মসজিদ, মন্দির, খেয়াং, পেগোড়া অথবা যেকোন উপাসনালয়ে থাকুক না কেন? সেখান থেকে নিজের মাঝে আনতে হবে। তবেই হবে ঈমানদার।

✍ দ্বীনে মোহাম্মদীর জন্য মওলা হোসাইনের কোরবানী, নবী পরিবারভূক্তদের কোরবানী আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের। কারবালা বিষাদময় নাছুতী জগতের অধিবাসীদের জন্য। নাছুতে অবস্থানকারীদের জন্য কারবালা বিষাদময় অধ্যায়, জবরুত লাহুতে সফররতদের জন্য এটা নিত্য বর্তমান। এটাই মেরাজ। এটাই মেরাজের স্বার্থকতা।

✍ আমার ঈমানে প্রতিষ্ঠিত মওলা"

(১) নিরাকার মওলা 'আল্লাহ' (জা.শা.)                                               

(২) আকারে মওলা 'মোহাম্মদ' (দ.)

(৩) প্রতিনিধি মওলা 'আলী' (কর.)

(৪) প্রাপ্ত মওলা আমার মোর্শেদ কিবলাহ (ক.)

কার দলিলে কি মিন করে তা আমার জানার বিষয় নয়। আমি শুধুমাত্র আল্লাহর বান্দা কোন দলিলের বান্দা নই। 

✍ প্রিয় ছুন্নী মুসলমান ভাইদের কাছে জানার আগ্রহে জিজ্ঞাসা-

বাদশাহ মুয়াবিয়ার কোন মুরিদী সিলসিলা দুনিয়াতে বিদ্যমান আছে কি? 

থাকলে সিলসিলার নাম কি? 

যাঁরা নিজেকে ক্বাদেরী ও রেযভী পরিচয় দিয়ে, বাদশাহ মুয়াবিয়ার ওরছ করেন। বাদশাহ মুয়াবিয়া, হুজুর গাউছে পাক (ক.) অথবা আলা হযরত কেবলার সিলসিলার আকাবিরে কিনা? 

না হয় লক্ষ লক্ষ জলিলুল ক্বদর ছাহাবাকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র জটিল ‌ও কুটিল বাদশা মুয়াবিয়া ইবনে সুফিয়ানের ওরছ আমারা কেন করব?

✍ বৃক্ষ তোর নাম কি?

মোর ফলেই পরিচয়

১.ছৈয়দ আবু তালেব------ ১.আবু সুফিয়ান বিন হারব

২.ছৈয়দ মওলা আলী-২. মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান

 ৩.ছৈয়দ মওলা হোসাইন--৩.ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া

 কোথায় পাহাড় এভারেস্ট---কোথায় পাঁঠা কেষ্ট ?

 ✍ মোয়াবিয়া ইবনে সুফিয়ানগং, মক্ষা বিজয়ের পর কালিমা পাঠান্তে মুসলমানের বেশ ধরেছেন। 

যেমন পলাশির যুদ্ধে মীর জাফর, জগৎ শেঠ, রাজ ভল্লভগং নবাব সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্ৰহণ করেছেন। 

যেমন ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পট-পরিবর্তনের পর গোলাম আযম, আব্বাস আলী, নিজামী, মোজাহীদ, মীর কাশিম আলীগং বাঙ্গালী বা বাংলাদেশী হয়েছেন। 

এখন যারা সুফিয়ান ইবনে মাবিয়াকেগংকে সমর্থন এবং ভালোবাসে‌? তারা বাংলার নবাব মীর জাফর আলী খানগং ও গোলাম আজমগং সমর্থনকারীদের মত বাঙ্গালী যেমন? অনুরূপ রাসুলুল্লাহ (দ.)র আদর্শ ধংসকারী ও বিরোধী মুসলমান।

যদিও তারা নামাজ, রোজা, হজ্ব ও যাকাত আদায় করে। 

হে মা'বুদ ঐরকম মোনাফেকী হতে আমাদেরকে হেফাজত করুন এবং আলে-পাকের সাথে হাশর করুন। আমিন!!!

✍ কালিমায়ে শাহাদাত, বাস্তব/ প্রত্যক্ষ ঈমান!

যেথা 'আল্লাহ'-'মোহাম্মদ" (দ.), নিত্য/সত্য প্রমান।

জরুরী কিন্তু 'ওয়াহ্দাতুল অজুদ' জ্ঞান?

হাকিকী পীরের বায়েতে মিলে, সদা বর্তমান। 

✍ আহলে পাককে বাদ দিয়ে, আহলে মোহাম্মদদের বাদ দিয়ে কোনো ইবাদাত সংঘঠিত হয় না, কোনো দোয়া কবুল হয় না, কোনো কাজের সূচনা হয় না; এটাই সত্য।

✍ আহলে বাইত নিজের উপযুক্ততা যুগে যুগে, সময়ে সময়ে প্রমাণ করেছেন। আল্লাহর গ্রহণযোগ্যতা তারা প্রমাণ করেছেন নিজের জীবনে; এমনকি কি অনেকাংশে নিজের জীবন দিয়ে যেমন মওলা হোসাইন (রা.)।

✍ মওলা আলী (কর )'র শানে কোরআন নাজিল হয়েছে, কোরআনের আয়াত আছে, আহলে মোহাম্মদের পক্ষে কোরআনে আয়াত আছে, আহলে মোহাম্মদের বিপক্ষে যারা ছিল তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে আমার মনে হয় এটা ঈমান বিধ্বংসী ব্যাপার।

✍ যে হয়েছে আল্লাহতে ফানা, 

     তার কোরবানি ষোল‌আনা।

     নফস পরস্তী, পশু মারন, 

     টাকা নষ্ট, শুধুই ভোজন।

     পুত্র বাবার হাতে কোরবান,

     আল্লাহর বন্ধু হলো প্রমাণ।




✍ "মানব অন্তরে সংরক্ষিত সুবিশাল পশু,

ধাতু নির্মিত ছুরি দিয়ে জবাই হয়না কবু!

    উক্ত পশু কোরবানি করিবে যদি?

    নতশিরে মুর্শিদ চরন সেব নিরবধি।"

✍ জান্নাত আমার উদ্দেশ্য নয়, মওলা আমার উদ্দেশ্য। আমি তালেবুল মওলা। আমার মতলুব আমার মওলা আল্লাহ, আমি তালেব। যার মতলুব জান্নাত, সে আল্লাহ পাবে কেমনে? তার নিয়্যতই তো খারাপ!

✍ সাবধান! হে আদম সন্তান! আপন সৃষ্টি, আপন অস্তিত্ব, স্বীয়সত্ত্বা সম্পর্কে, অভিজ্ঞতা অর্জন কর। অবশ্যই আমানত চাওয়া মাত্র ফেরতযোগ্য বা মালিকের কাছে হস্তান্তর যোগ্য।

✍ হে আদম সন্তান! তোমাকে আল্লাহর গঠন প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর পবিত্রতা রক্ষা করতে স্বচেষ্ট হও। নিজের পরিচয় খোঁজ, কামেল পীরের এত্ত্বেবা কর। আল্লাহর পরিচয়ে পরিচিত হও। একমাত্র পীরে মগাঁই পারেন, তোমাতে তোমার পরিচয় ঘঠাতে।

✍ আদম সন্তান আমি, “সর্ব প্রথম আল্লাহর জাতি নূর থেকে নূরে মোহাম্মদী সৃষ্টি হল। তখন আমি সহ নূরে মোহাম্মদীর মধ্যে নিহিত ছিলাম। নূরে মোহাম্মদীর সৃষ্টির পূর্বে আমিসহ, নূরে মোহাম্মদীসহ আল্লাহর জাতি নূরে নিহিত ছিলাম”। যেমনঃ- {(নুরুল্লাহ)> (নূরে মোহাম্মদী)> (সমস্ত সৃষ্টি) (আমি আদম) অথবা {আমি আদম সন্তান <(আদম) <(নূরে মোহাম্মদী) <(নূরুল্লাহ) জাতে আল্লাহ}।

✍ "প্রত্যেক বস্তু তাঁর মূলের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল"

হে আদম সন্তান! তুমিও তোমার জাত আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনশীল। তুমি তোমার পবিত্র জাত এর দিকে প্রত্যাবর্তন করার প্রস্তুতি গ্রহণ কর, না হয় তোমার নিস্তার নেই। 

✍ ঈমান ও ইসলাম, মোমেন ও মুসলমান পার্থক্য আছে। ঈমান সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীন ও আন্তরিক বিষয় এবং রোজা, নামাজ, হজ্ব, যাকাত সম্পূর্ণ দৈহিক বিষয়। নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত আদায় করলে মুসলমান বলা যেতে পারে। তাকে ঈমানদার বলা যেতে পারে কিনা সন্দেহ আছে। সে মৃত্যু কালে ঈমান সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে কিনা সন্দেহমুক্ত নয়।

                সূত্র- 'আদম' (মহান ছুরত ও ছীরত)

✍ হে আদম সন্তান! জ্ঞানের অন্বেষণ কর, অদৃশ্য জ্ঞাতদের স্মরণাপন্ন হও। যাদেরকে তিনি সেই অদৃশ্য জ্ঞান দান করেছেন এবং সে জ্ঞানকে হেফাজত করুন।

✍ কিভাবে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে পরিচয় ঘটবে? এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ- আল্লাহ ও রাসূলের পরিচিতি এবং সম্পর্ক স্থাপনকারী ব্যক্তি তথা ইনসানে কামেল পীরের হাতে বায়াত দান করে, আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করুন।

✍ হে আদমের উত্তরাধীকারী! জ্ঞানের আলোয় আগমন করুন, (কোরআনে) উল্লেখিত কিতাব হেকমত ও অজ্ঞাত বিষয় বস্তু জানতে ও শিখতে নবী কিংবা নায়েবে নবী, যাঁরা নবীর প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁদের নিকট গমন করুন। তাঁদের সাহচর্য গ্রহণ করুন। নিজেকে উৎসর্গ করুন। নিয়ামতের অধিকারী হোন।

✍ হে আদমজাদা! তালাশ কর (আল্লাহ এবং নবীকে) আপনার সাথে সব সময় রয়েছেন। আপনার সাথে সাক্ষাত করতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আপনি কেন অবহেলা করবেন। জ্ঞান অর্জন করুন। মহা জ্ঞানীর সান্নিধ্যে গমন করুন। নিজেকে সমর্পন করুন।

✍ হে আদম পুত্র! যথার্থ আদম দাবী করতে হলে ঐশী জ্ঞানী পীর তালাশ কর যে নিজের ও আল্লাহর খবর রাখেন। নবীকে জাহেরী ভাবে না পেলে, নায়েবে নবীর স্মরণাপন্ন হও। যার কাছে নবীজির খবর আছে বা যিনি নবীজিকে চিনেন এবং নবীজির পরিচয় দান করতে পারবেন বা তাঁর সাথে সাক্ষাত করাতে পারবেন।

✍ "ইনছানে কামেল” (পরিপূর্ণ আদম) এর নিকট থেকে গুপ্ত ব্যক্ত সকল প্রকার জ্ঞান অর্জন করুন। “জ্ঞানই মুক্তি”।

✍ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পীরের একান্ত প্রয়োজন। একজন ইনসানে কামেল তথা আল্লাহর সাথে পরিচয় জ্ঞাত পীরই আপনাকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করে দিবেন।

✍ হে জ্ঞানী মানবজাতি পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করতঃ লালন-পালন করছেন। তাঁকে চেনা, তাঁর পরিচয় লাভ করা একান্ত কর্তব্য। সমস্ত জগৎ তাঁকে চেনার জন্য সৃষ্টি করেছেন।

✍ ইবাদত দ্বারা মানবকুলের শ্রেষ্ঠত্ব বুঝা যায় না। মানুষ নিজ শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে একজন দক্ষ মুর্শিদ বা পীরের প্রয়োজন। পীরই আপনাকে আপনার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ শিক্ষা দান করবেন।

✍ খলিল বানাইল ঘর আল্লাহর তরে,

সবাই মানে আল্লাহ থাকে সেই ঘরে।

মক্কা শরীফ আল্লাহর ঘর ছেড়ে,

সাধন করেন নবী হেরার ভিতরে।

তাদের কথা কি বলা যায় বিচারে?

গুহা থুয়ে নিয়ত ক্বাবাপানে করে?

✍ আল্লাহর দিকে প্রত্যবর্তনকালে ঈমান সাথে নিয়ে যেতে হবে। ঈমান সাথে নেওয়ার অর্থ হল নিজ পরিচয় তথা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের পরিচিতি চিনে, জেনে, দেখে দুনিয়া হতে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। এভাবে যারা আল্লাহর পরিচয় জ্ঞাত হন তারাই মুত্তাকীন।

✍ আদমের ভিতর আল্লাহর ছুরত কি? কিভাবে তাঁর অবস্থান? নিশ্চয় তা কেহ নিজে নিজে অবগত হতে পারে না। আল্লাহ ছুরত আদমের মধ্যে খুজেঁ বাহির করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। এ জটিল ব্যাপার আপনাকে সমাধান দিবেন যিনি তিনিই আপনার প্রকৃত পীর। অবশ্য পীরের সকল আদেশ উপদেশ মেনেই তা আপনাকে অর্জন করতে হবে।

✍ মুরিদের অবগত থাকা দরকার পীর হতে মুরিদ কি পেতে পারেন? তা কিন্ত নামাজ রোজা, হজ্ব, যাকাত, তাসবিহ, তা'লিল নয়। মুরিদ পীরের নিকট হতে জানা দরকার যা মুরিদ জানে না, চেনা দরকার যা মুরিদ নিজে চিনে না, বুঝা দরকার যা তিনি বুঝেন না৷

✍ আল্লাহর গোপন রহস্য আদম ছুরত, তার তত্ত্ব জ্ঞান মুরিদ পীরের নিকট হতে লাভ করবেন; অবশ্যই পীরের শর্ত সাপেক্ষে।

✍ আল্লাহ ও রাসুলের অস্থিত্ব প্রমাণে দলিল মূলে পীর হতে শিক্ষা লাভ করুন এবং প্রত্যাবর্তনকালে আমানত নিয়ে সফলভাবে প্রত্যাবর্তন করুন।

✍ যথার্থ ইসলাম অর্জন কর যেন ঈমান পর্যন্ত পৌঁছাতে পার। অতঃপর যথার্থ ঈমান গ্রহণ কর যেন ইয়াকিন পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হও। তখন তুমি এমন বস্তু দেখবে যা ইয়াকিনের পূর্বে দেখ নাই। ইয়াকিন তোমাকে প্রতিটি বস্তুর আসল রূপ দেখাবে।

✍ প্রেমিক ও প্রেমাস্পদের মিলনের আকর্ষণেই প্রেম, প্রেম দ্বারা আল্লাহ প্রাপ্তির শীঘ্র সাধন হয়। প্রেমের পরিণাম ও উদ্দেশ্য মিলন বা বেছাল। আল্লাহ যখন আমার জাত বা মূল তখন আমাকে আমার জাত বা মূলের প্রতি প্রত্যাবর্তীত হয়ে মিলিত হতে হবে।

✍ পীরের কাছ থেকে শিখার বিষয় হলো অদৃশ্যের দর্শন, অজ্ঞাত বস্তু জ্ঞাত হওয়া, অশ্রুত বিষয় শ্রবণ করা অর্থাৎ আল্লাহ, মোহাম্মদ এবং ফেরেস্তাসহ নানাবিধ অজানাকে জানা অচেনাকে চেনা।


YouTube Video: 


—আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.)’ পীর ছাহেব, রাহে ভান্ডার সিলসিলা। চট্টগ্রাম দরবার শরীফ। বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।

সংকলন: ছৈয়দ মশিউর রহমান (রাহাত)


অমৃত বাণী Amrit Saying's🔎: Facebook Page 

Admin🔎:  SHAHAB UDDIN - FB ID

No comments:

হযরত মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহ.)’র মহা পবিত্র কালাম/অমৃত বাণী মোবারক - Amrit Saying&#39;s - Sufi Saying&#39;s

1. হারিয়ে না গেলে পাওয়া সম্ভব নয়। 2. আকাশ কেবল হৃদয় দিয়েই ছোঁয়া যায়। 3. প্রদীপগুলো আলাদা কিন্তু আলো একই। 4. যা তোমাকে পরিশুদ্ধ করে, স...